কাঁঠালের বীজের পুষ্টিগুণ ও বিশেষ ১০টি উপকারিতা
কাঁঠালের বিচি পুষ্টিগুণে ভরপুর। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, জিংক, আইরন
এবং মিনারেল এর অন্যতম উৎস হল কাঁঠালের বিচি। কাঁঠালের বিচির বাহিরে অংশ সাদা
হলেও এর ভেতরের অংশ সুন্দর লাল আবরণ দিয়ে ঘেরা। কাঁঠালের বিচির শুখানোর পরে
বাহিরের সাদা কাগজের মত পড়ল উঠিয়ে ফেলে ভেতরের যে লাল অংশ থাকে সেইটা প্রসেসিং
করে খেতে হয়।
কাঁঠাল খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ বাংলাদেশের খুব কমই পাওয়া যায়। কিন্তু কাঁঠালের বিচি খেতে যে কেউ পছন্দ করে। কাঁঠাল এবং কাঁঠালের বিচি মানুষের শরীরের জন্য খুব উপকারী একটি খাবার। কাঁঠালের উচ্ছিষ্ট অংশটুকু গরু ছাগলের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পুষ্টিগুণের দিক থেকে কাঁঠালের বিচি অতুলনীয়।
কাঁঠাল খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ বাংলাদেশের খুব কমই পাওয়া যায়। কিন্তু কাঁঠালের বিচি খেতে যে কেউ পছন্দ করে। কাঁঠাল এবং কাঁঠালের বিচি মানুষের শরীরের জন্য খুব উপকারী একটি খাবার। কাঁঠালের উচ্ছিষ্ট অংশটুকু গরু ছাগলের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পুষ্টিগুণের দিক থেকে কাঁঠালের বিচি অতুলনীয়।
পেজের সূচিপত্রঃ
- কাঁঠালের বিচির পুষ্টিগুণ
- কাঁঠাল বিচির ১০ টি বিশেষ উপকারিতা
- কাঁঠালের বিচি খাওয়ার নিয়ম
- কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ
- লেখকের শেষ মন্তব্য
কাঁঠালের বিচির পুষ্টিগুণ
স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে কাঁঠালের বিচি পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। হেল্প লাইন ওয়েবসাইট
থেকে যা যা জানা গেছে, সেইসব পুষ্টিগুণ নিচে তুলে ধরা হলো।
- ১০০ গ্রাম কাঁঠালের বিচিতে পাওয়া যায় ১০০% ক্যালরি
- এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট ৩৯.৪ গ্রাম
- প্রোটিন রয়েছে ৫ গ্রাম
- ফাইবার রয়েছে ১.৫ গ্রাম
- চর্বি রয়েছে ১.৪ গ্রাম
- পটাশিয়াম রয়েছে ৫.১০মিলিগ্রাম
- সোডিয়াম রয়েছে ১০ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে ৭%
- ফসফরাস রয়েছে ৫%
কাঁঠালের বিচির বিশেষ ১০টি উপকারিতা
- বিভিন্ন ফার্মেসি ওয়েবসাইটের রিপোর্ট থেকে আমরা জানতে পারি যে, কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসকরবিক এসিড এবং গ্যালিক এসিড যা মানুষের শরীরকে ফ্রি রেডিক্যাল তৈরিতে নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
- কাঁঠালের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। আমরা যারা মাছ-মাংস কম খায় বা পছন্দ করি না তাদের শরীরে আমিষের অনেক ঘাটতি থাকে আর এই চাহিদা মেটাতে কাঁঠালের বিচি অত্যন্ত প্রয়োজনী একটি খাবার।
- বাংলাদেশের বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে এদের মধ্যে হেলথ লাইন হল একটি ওয়েবসাইট এখান থেকে আমরা জানতে পারি ব্যাকটেরিয়া দূর করতে কাঁঠালের বিচি খুবই উপকারী। এর ভেতরের যে লাল অংশ আছে এর মধ্যে ছোট ছোট কণা থাকে এটাই মূলত ব্যাকটেরিয়া দূর করার উপাদান হিসেবে কাজ করে । কাঁঠালের বিচিতে থাকে উপাদান এবং জ্যাকলিন এসিড যা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- কাঁঠালের বিচিতে থাকা প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং বার্ধক্য তৈরীর উপাদান গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে, কাঁঠালের বিচিতে বিশেষ বিশেষ অসুখের জীবাণু নষ্ট করার গুণাগুণ রয়েছে।
- শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাঁঠালের বিচিতে যে খনিজ পদার্থ রয়েছে তার নাম ম্যাগনেসিয়াম। মানুষের শরীরে বিভিন্ন হার রয়েছে এই হারগুলোর মধ্যে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে এবং আমাদের শরীরের হার কে শক্তিশালী ও মজবুত করতে সাহায্য করে এই কাঁঠালের বিচি। হাড়ের বিভিন্ন রোগ এর মধ্যে অস্টিওপরোসিস যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে কাঁঠালের বিচি।
- কাঁঠালের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায় নির্মিত কাঁঠালের বিচি খেলে রক্তস্বল্পতা ও রক্তের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যায়, এ ছাড়া আইরন ব্রেন বা হার্টের সুস্থতা ও শরীরকে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে। কাঁঠালের বিচি রক্তের কিছু খারাপ কোলেস্টেরল রয়েছে তা দূর করতে সাহায্য করে।
- কাঁঠালের বিচিতে ভিটামিন এ রয়েছে যা মানুষের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া এতে কিছু ভালো ও কিছু খারাপ দ্রব্যদি থাকে যা ফাইবার নামে পরিচিত এই ফাইবারের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং শরীর ভালো রাখে।
- কাঁঠালের বিচি নিয়মিত খেলে আপনার শরীরের হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণ করবে এবং কাঁঠালের বিচিতে অ্যানিমিয়া রক্তশূন্যতা রোগ দূর করার জন্য ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
- কাঁঠালের বিচি বদহজম কমায় এবং হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কাঁঠালের বিচিতে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন এ মিনারেল রয়েছে যা চুলের আগা ফাটা দূর করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কাঁঠালের বিচি নিয়মিত খেলে রাত কানা রোগ হওয়া থেকে বাঁচায়।
- বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশ যেমন ভারত ও চীনে এই কাঁঠালের বিচি অ্যালকোহলের বিষক্রিয়া দূর করার জন্য আন্টিটুড প্রস্তুতে ব্যবহার করা হয় । এই কাঁঠালের বিচি এইচআইভি রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সাহায্য করে।
কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ
কাঁঠালের বিচির সিজন শেষ হয়ে গেলেও আমরা সংরক্ষণ করে খেতে পারি। অনেকদিন আগের কথা আগের মানুষ কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করার জন্য বালুর নিচে চাপা দিয়ে রাখত কারণ কাঁঠালের বিচি সেত সেতা আবহাওয়া নষ্ট হয়ে যায তাড়াতাড়ি। বালি শুকনা থাকে তাই এই কাঁঠালের বিচিকেও শুকনা রাখতে সাহায্য করে।
কাঁঠালের বিচি ছেলার পরে আমরা ডিপ ফ্রিজের সংরক্ষণ করতে পারি। আবার দীর্ঘ দিন
রাখার জন্য একটু সেদ্ধ করে নিয়ে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে অনেক দিন যাবত ভালো
থাকে।
কাঁঠালের বিচি খাওয়ার নিয়ম
কাঁঠালের বিচিতে এক ধরনের সালফার থাকে তা হলো এন্টি মাইক্রোবিয়াল গুণে ভরপুর। যা মানুষের বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যা যেমন, ডায়রিইয়া, গ্যাসের সমস্যা, এবং অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ।আমরা কাঁঠালের বিচি বিভিন্নভাবে খেতে পারি। যেমন কাঁঠালের বিচির ভর্তা, কাঁঠালের বিচির কাবাব, কাঁঠালের বিচি দিয়ে মাছের ঝোল, কাঁঠালের বিচি ঘণ্ট, কাঠালের বিচির ভাজি, ইত্যাদি এসব খাবার অনেক সুস্বাদু ও মুখরোচক হয়ে থাকে।লেখকের শেষ মন্তব্য
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, কাঁঠালের বিচি উপকারিতা অনেক বেশি। আমরা এই
আর্টিকেল থেকে জানতে পারলাম আজকে কাঁঠালের বিচির উপকারিতা,সংরক্ষণ আর ও অনেক
কিছু। আমি আশা করি কাঁঠালের বিচি সম্পর্কে সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে তুলে ধরতে
পেরেছি তাই যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমার এই কন্টেন্ট টা
পরবেন। এছাড়াও আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আশা করি
আপনাদের সকল প্রকার আর্টিকেলের সমস্যা তুলে ধরতে পারবো।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url