''ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যাবহারের নিয়ম''

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারে মুখের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায় এবং তৈলাক্ত ত্বকেও ভিটামিন ই ক্যাপসুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কারণ ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটি ন্যাচারাল এন্টিঅক্সিডেন্ট যা তোকে ক্ষতি তারক পদার্থ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। 

    


ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারে ত্বকের জেলা ফিরে আনে এবং ত্বকে যেকোন ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বককে উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
 

পেজ সূচিপত্রঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উৎস 


ভিটামিন ই ক্যাপসুল তৈরি হয় বা দাম বীজ এবং উদ্ভিজ্জ তেল দিয়ে তবে আমরা ভিটামিন এই সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় পেয়ে থাকি। আমাদের প্রতিদিনের খাবার মেনুতে ভিটামিন ই বাড়ানোর জন্য আরও কিছু মজার মজার খাবার রয়েছে তার নামগুলো হল। যেমন, আম, বাদামের মাখন, লালমরিচ, টমেটো,  কুমড়া,  সূর্যমুখী বীজ, পালং শাক ইত্যাদি।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের শর্তাবলী 


আমরা কমবেশি সবাই জানি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এইটা সরাসরি মুখে খাওয়া ঠিক না অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সরাসরি আমাদের খাওয়া উচিত। তবে এর ভেতরের অয়েল আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই উপকারি।

আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যাবহার।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল রোদে পোড়া ভাব দূর করে 


অনেকদিন যাবত আমরা কোন নিয়ম না মেনে রোদে যাতায়াত করি আর এর জন্য আমাদের ত্বকে এক ধরনের পোড়া ভাবের সৃষ্টি হয়। তাই এই পুরা ভাব দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুলে ওভার নইট ক্রিম


ভিটামিন ই সমৃদ্ধ নাইট ক্রিম বা বডি লোশন ত্বকের জন্য খুবই উত্তম। আপনি চাইলে যে কোন ক্রিম বা লোশন এর সঙ্গে ভিটামিন এ মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। 
      সাধারণত আমরা রাতে যে ক্রিম ব্যবহার করি সেটার সঙ্গে একটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে মুখে মাখতে হবে এবং রসুনের সঙ্গে একটা মিশিয়ে নিয়ে শরীরে লাগাতে হবে এতে আপনার তখন অনেক সুন্দর এবং নরম তুলতুলে হবে যাতে আপনার মন ও ভালো হয়ে যাবে। 




তৈলাক্ত ত্বকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল 


তৈলাক্ত ত্বকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়মিত ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এটা ব্যবহারের ফলে যেমন নানান সমস্যা দেখা দেয় আবার ঠিক তেমনি ত্বকের দাগ চোখ দূর করে উজ্জ্বলতা এবং ঝুঁকে ত্বক উপহার দেয়। 
ভিটামিন ই ক্যাপসুল যেমন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অনেক ভালো তেমনি এটি চুলের জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারে ত্বকের রোদের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। 
ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটু ফুটো করে হাতের তালুতে ওর অয়েল টুকু নিয়ে পুরো মুখে সারারাত লাগিয়ে রাখুন এবং সকালে ফ্রেস ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এতে আপনি একটা ভালো ফলাফল পাবেন। 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ঠোঁট গোলাপি করার উপাই 


আজকাল সুন্দর ঠোঁট কেনা চাই, সুন্দর ঠোঁট সবাই পছন্দ করে, আমরা সবাই চাই যে সুন্দর ঠোঁটের অধিকারী হতে। বাংলাদেশে অনেকে আছে যাদের ঠোঁট কালচে আবার অনেকে ঠোঁট গোলাপি তবে যাদের ঠোঁট কালচে তারা চায় তাদের ঠোঁটটা সুন্দর গোলাপী এবং আকর্ষণীয় হোক। 
 
আমরা গোলাপের কয়েকটা পাপড়ির থেকে রস বের করে তার সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখতে হবে এতে ঠোঁটের কালচে দাগ খুব সহজেই উঠে যাবে এবং ঠোঁট গোলাপের পাপড়ির মত সুন্দর দেখাবে। 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারে চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার উপায় 


ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের চোখের নিচের কালো দাগও খুব সহজে দূর করা যায়। আমাদের কমবেশি সবারই চোখের নিচে একগাদি কালো দাগ যা দেখতে ভালো লাগে না আসুন আমরা ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে কালো দাগ দূর করার উপায় জেনে নেই। 
একটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর সঙ্গে একটা বা দুইটা আলু চিপে বা পিষে রস বানিয়ে তাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল মিশিয়ে নিন এবং এই পেজটি তুলাই ভরিয়ে নিয়ে চোখের নিচে লাগিয়ে রাখুন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। 
এমনভাবে আপনি সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করবেন তাতে আপনি অনেক ভাল ফলাফল পাবেন এবং চোখের নিচে কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। 

ব্রণের দাগ দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ব্যবহার


ব্রণ যা আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। কেউ বলতে পারবে না যে বোন ছাড়া মানুষ আছে। এই সেই ব্রণ যা একসময় ভালো হয়ে গেলেও তার দাগ মনে হয় তার দাগ আর মিশবে না সেটা দীর্ঘ সময়ের জন্য থেকেই যাই। তবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল তার সহজে দূর করতে সাহায্য করে। 
এই দাগ দূর করতে আমাদের প্রতিদিন ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেলটা নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে এতে করে ধীরে ধীরে আমাদের ব্রনের দাগ কমে যাবে এবং ডগ টা অনেক সুন্দর উজ্জ্বল ও ঝলমলে হবে। 

নখ ভালো রাখতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার 


আমরা সারাদিন কতই না কাজ করি আর এইসব কাজ করার ফলে নোংরা ধুলো ময়লা যা আমাদের নখের উপরে কিছু না কিছু খারাপ প্রভাব ফেলে। যেমন রান্নার কাজ, বাসন মাজা, কাপড় কাঁচা, গাছের পরিচর্যা করা, ইত্যাদি কাজে নখের উপরে যথেষ্ট ময়লার প্রলেপ পড়ে তাই আমাদের নখের যত্ন নেয়া  খুবই প্রয়োজন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে তার তেলটা বের করে নিয়ে যদি আমরা সারারাত নখের আশেপাশে এবং নখের উনা কুনা দিয়ে লাগিয়ে রাখি তাহলে সারা রাতে আমাদের নখগুলো ময়েশ্চার পাবে।




ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ত্বকের সিরাম 


ভিটামিন ই ক্যাপসুল যদি আপনি ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে আপনি বডি শোপের সিরামের মতোই ভালো ফলাফল পাবেন। রুক্ষ স্কিনের মানুষরা যদি ভিটামিন ই অয়েল হাতে কয়েক ফোঁটা নিয়ে হালকা করে ত্বকে মেসেজ করে বসিয়ে দিতে হবে। 
           লাগতো ত্বকের অধিকারীরা তাদের জন্য এই তেলটা খুবই ভারী হবে। তাই আপনাদের করণীয় দুই হাতের তালুতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ২-১ফোঁটা নিয়ে গোসল এবং পাঁচ সেকেন্ড ত্বকে চেপে ধরে রাখুন হয়ে গেল আপনার শ্রীরাম ব্যবহার করা। 
আর এই তৃপ্তিতে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে বয়স্ক ব্যক্তিরা। 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোথায় পাওয়া যাবে 


ভিটামিন ই ক্যাপসুল রূপচর্চার জন্য ছোট ছোট হলুদ বর্ণের সবুজ বর্ণের এবং লাল বর্ণের হয়ে থাকে। ইতি আমাদের নিকটতম ঔষধের দোকানে খুব সহজেই এবং স্বল্পমূল্যে পাওয়া যায়।
 এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল আবার কসমেটিক্স এর দোকান গুলোতেও পাওয়া যায়। যার মূল্য ৫ থেকে ১০ টাকার মধ্যে। আপনারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল সেবনের জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার বিধি

আপনারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল যেকোনো সময় ব্যবহার করবেন না। উপরে যে সকল নিয়ম দিয়ে আছে সেগুলো অবশ্যই ফলো করে রাতে ঘুমানো আগে ব্যবহার করলে এর ফল অবশ্যই ভালো পাবেন। তাই রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করাটাই উত্ত ম এতে ফলাফল ভালো পাওয়া যায় অবশ্যই তাই নিয়ম মেনে ব্যবহার করবেন। 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা 




মানবদেহের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই উপকারী। এখানে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে সত্যিই এই ক্যাপসুলের অনেক সুবিধা বা গুণাগুণ রয়েছে। চলুন দেখি নি কি কি সেই সুবিধা। 
  • অক্সিডেটিভ স্টক এর বিরুদ্ধে লড়াই করে। 
  • ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। 
  • সূর্যের ক্ষতিকর রোশনি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। 
  • প্রিমেন ইসট্রুআল সিনড্রোম থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। 
  • র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। 
  • রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। 
ভিটামিন ই ক্যাপসুল হল অনেক শক্তিশালী একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা এই অক্সিডেটিভ স্ট্রোকের সাথে যুদ্ধ করে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর অপকারিতা 

অতিরিক্ত কোন কিছু ব্যবহার করা সব সময় ভালো না। এই ক্ষেত্রে ই ক্যাপসুল ও এর বাহিরে নয়। এর যেমন উপকারী দিক আছে ঠিক তেমনি অপকারী দিকগুলো রয়েছে। তাই চলুন অপকারী দিকগুলো কি কি তা আমরা জেনে নেই। 
    নিয়মিত যদি ভিটামিন ই 300 IU এর RDA এর চেয়ে বেশি ব্যবহার করি তাহলে হিমোরেজিক স্ট্রোক করার ঝুঁকে থাকে। তাই গবেষকরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল সম্পূর্ণভাবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। এতে স্ট্রোকের ঝুঁকি ২২% কমে যাবে। তাই চলুন আমরা দেখি অসুবিধা গুলো কি কি। 
  • যেকোনো ত্বকের যত্নে অন্যগুলোর সাথে মিথস্ক্রিয়া।                     
  • শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় এই ক্যাপশন পরিহার করা।
  • ওষুধের সাথে মিথস্ক্রিয়া।

শেষ কথা  

পরিশেষে বলা যায় যে, ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনার শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি আপনার ত্বক চুল নখ এবং আপনাকে সহ্যের ক্ষতিকারক পুরস্কৃতিকে রক্ষা করে। প্রত্যেক ওষুধেরই সর্বদা লেভেল পরীক্ষা করুন এবং যাচাই করুন এবং সন্দেহ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ভিটামিন ই ক্যাপসুলের উপকারী এবং অপকারী দিক দুটোই আছে এই দুটো দিক মাথায় রেখে আপনারা এই ক্যাপসুল ব্যবহার করবেন। 



                                                              ধন্যবাদ সবাইকে
                                                                         👍





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url